ধলাই ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্যের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষকদের দুইপক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, জনগণের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে নিজেদের আন্দোলনের কারণে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে এটা কখনো হতে পারে না। কোন নৈতিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছেন সেটা শিক্ষকদের কাছে জানতে চাই। শিক্ষকদের তা জবাব দিতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শিশু একাডেমিতে ‘আন্তর্জাতিক শিশুকন্যা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এমন কথা জানান।
উপমন্ত্রী বলেন, আমরা উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। অবশ্যই তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। তবে তার আগে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার তো নৈতিক অধিকার কারও নেই। আমরা তদন্তের আগে সম্মানিত শিক্ষকদের কাছে সে জবাব চাইব। বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অর্থে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে পরিচালিত হয়। একটা সন্দেহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে এটা কেমন কথা। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে এ প্রশ্ন রাখতে চাই।
অভিযোগের ভিত্তিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে তদন্ত করি তারপর সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আপনারা অবশ্যই জানতে পারবেন। সেখানে শিক্ষকরা আছেন। তারা জনগণের দেয়া টাকা থেকে বেতন নেন। কিন্তু তাদের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এটা শিক্ষকতার কোন নৈতিকতার মধ্যে?
মহিবুল হাসান বলেন, সেখানে (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) কিছু শিক্ষক নিজেদের স্বার্থে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। নিজেরা নেমেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও নামিয়েছেন। এগুলো কোন ধরনের কাজ?
আপনারা কখন সিদ্ধান্ত জানাবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নওফেল বলেন, যখনই হোক না কেন, কী সিদ্ধান্ত হয় আমরা জানাব। কিন্তু সেখানে সন্দেহবশত আন্দোলনের মুখে ক্লাস বন্ধ হবে কেন? আপনারা জনগণের টাকা নিচ্ছেন। আবার উসকানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়ে হট্টগোল করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেবেন। এটা কেনোদিন মেনে নেয়া যায় না।