ধলাই ডেস্ক: গহনা তৈরির টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে খুলনায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় আল হেলাল নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনা ঘটে বুধবার রাত ৮টার দিকে নগরীর নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা এপিপি মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে । এ ঘটনায় বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করেছেন গৃহবধূ।
খুলনা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অনুকুল চন্দ্র বলেন, ওই গৃহবধূর কাছে গহনা বানানো বাবদ তিন হাজার ৬০০ টাকা পায় স্বর্ণকার সুদেব দাস। বুধবার সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখাতে যাবে বলে ফোনে গৃহবধূর কাছে ওই টাকা চায় সুদেব।
গৃহবধূ দুই হাজার টাকা জোগাড় করে দিতে চাইলে নিরালার প্রান্তিকার এপিপি মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে যেতে বলে সুদেব। ইজিবাইক নিয়ে নিরালার আলকাতরা মিল থেকে ওই বাড়ির সামনে যান গৃহবধূ। সেখান থেকে সুদেব ও তার সহযোগী ইয়াসিন শেখ, মো. বরণ ও আল হেলাল শেখ বাড়ির দোতলার একটি কক্ষে গৃহবধূকে নিয়ে যায়। সেখানে সুদেব গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এরপর ইয়াসিনও ধর্ষণ করে। অন্য দুজন ধর্ষণে সহযোগিতা করে গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে রেখে চলে যায়। গৃহবধূর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে উদ্ধার করে।
খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার পর চার নম্বর আসামি আল হেলাল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানা পুলিশের ওসমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ।