আম বেশি খেলে কী হয় জানেন?

প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা আম।  রসালো এই ফল কার না পছন্দ? তবে বেশি আম খাওয়া হলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ল্যাটেক্স এলার্জি

আপনার যদি ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি থাকে তবে সতর্ক থাকুন। কারণ আমের প্রোটিন ল্যাটেক্সের মতোই। এটি চুলকানি এবং আমবাত বা অ্যানাফিল্যাক্সিসের কারণ হতে পারে। যার ফলে গলা ফুলে যেতে পারে এবং শ্বাস নিতে গুরুতর অসুবিধা হতে পারে।

রক্তে শর্করা বৃদ্ধি

ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে একটির বেশি আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে। এই ফলের বেশিরভাগই কার্বোহাইড্রেট। এটা বিশ্বাস করা কঠিন, তবে এই সুমিষ্ট ফলের শর্করা পরিশোধিত চিনির মতোই কাজ করতে পারে।

ডায়রিয়া

আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল অতিরিক্ত খাওয়া হলে তা ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। তাই সুষম অনুপাতে আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। খাবার খাওয়ার মিনিট পনেরো পরে আম খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে খেতে পারেন।

ওজন বৃদ্ধি

বেশি আম খাওয়া তা ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। একটি আমে প্রায় ২০১ ক্যালোরি থাকে। তাই প্রতিদিন মাত্র দুই কাপ (৩৩০ গ্রাম) খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কৃত্রিমভাবে পাকানো আম এড়িয়ে চলুন

অনেক আম কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়। আপনি যদি অতিরিক্ত রসালো এবং মিষ্টি আম খেয়ে থাকেন তবে সাবধান হন, কারণ সেগুলো রাসায়নিকভাবে পাকানো হতে পারে। আম রাসায়নিকমুক্ত কিনা তা পরীক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় হলো – এক বালতি পানিতে আম রাখুন। যদি আম ডুবে যায়, তবে স্বাভাবিকভাবেই পাকা। আর যদি ভাসতে থাকে তবে তা কৃত্রিম উপায়ে পাকানো।

যাদের খাবারে অ্যালার্জি আছে তাদের অবশ্যই আম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।