আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে। এসময় ইরানি হুমকির হাত থেকে সৌদি আরবকে সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর আরব নিউজের।
সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ (সৌদি প্রেস এজেন্সি) জানিয়েছে, বাইডেন এবং বাদশাহ সালমান দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আরও জোরদার করায় গুরুত্বারোপ করেছেন।
এসপিএ বলেছে, সৌদি আরবকে যেকোনও হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান। তিনি (বাইডেন) নিশ্চয়তা দিয়েছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে দেওয়া হবে না।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম ফোনালাপে ইয়েমেন যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুসারে, জো বাইডেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যতটা সম্ভব মজবুত ও স্বচ্ছ করতে যা যা প্রয়োজন, তার সব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাদশাহ সালমানকে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অভূতপূর্ব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সৌদি আরবের। বিশেষ করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বা এমবিএসের ছিল মারাত্মক সুসময়! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়েছিলেন এবং ইয়েমেন যুদ্ধে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে ব্যাপক স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।
তবে বাইডেন প্রশাসন সৌদি ইস্যুতে ট্রাম্পের সেই নীতি থেকে সরে আসছে। ইয়েমেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে আর সমর্থন দেবে না বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ইয়েন সাকি সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পূনর্মূল্যায়ন করতে চান।
ট্রাম্প তার মেয়ের জামাই জ্যারেড কুশনারের মাধ্যমে যুবরাজ সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তবে বাইডেন সৌদি ইস্যুতে যুবরাজ নয়, সরাসরি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
তাছাড়া, গত সপ্তাহে বাইডেন জানিয়েছেন, তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার গোয়েন্দা প্রতিবেদন তিনি দেখেছেন। প্রতিবেদনটি খুব শিগগিরই প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি তৈরিতে মূল ভূমিকা রেখেছে সিআইএ। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই প্রতিবেদনে খাশোগি হত্যার অনুমোদন ও আদেশদাতা হিসেবে যুবরাজ সালমানকে দায়ী করা হতে পারে।