আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরামহীন বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৫৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু রয়েছে অন্তত ৫০০, নারী ২৭৬ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ছয় হাজার ৬১২ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
বহুবছর ধরে চলতে থাকা অমানবিক নিপীড়নের প্রতিশোধ নিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে গাজার বিদ্যুৎ, পানি, খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে উপত্যকাটিতে।
গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ। তবু বিন্দুমাত্র টলেনি ইসরায়েলের প্রতিশোধস্পৃহা। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থনে যেকোনো সময় বড় আকারে স্থল অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
এদিকে, গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরো বহু মানুষ।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ বাজুম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে জাবালিয়া শিবিরের কেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েল। ভবনটি মানুষে পরিপূর্ণ ছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আগের বিমান হামলাগুলো থেকে বাঁচতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।