ঈদ জামাতে থাকবে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০১৯
ছবি- সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন রাজধানীর সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত জাতীয় ঈদগাহ এবং বায়তুল মোকাররম কেন্দ্রীক পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের জামাতে আগত মুসল্লিরা জায়নামাজ ও বৃষ্টি হলে ছাতা সঙ্গে নিয়ে ঈদগাহে আসতে পারবেন। এর বাইরে কোনো কিছু সঙ্গে নিয়ে আসা যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা তল্লাশির পর সেগুলো নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশের অনুমতি দেবে।

শনিবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের জন্য মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আব্দুল গণি রোড, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন মোড়সহ কয়েকটি স্থানে বেরিকেড থাকবে। এসব রাস্তা দিয়ে ঈদগাহের দিকে পায়ে হেঁটে আসতে হবে। ব্যরিকেডের ভেতরে সবাইকে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। যারা জামাতে আসবেন তারা সঙ্গে দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, ছুরি, দিয়াশলাই নিয়ে আসবেন না।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, রাজধানীজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে সবচেয়ে বড় ও প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। এ ঈদের জামাতকে ঘিরে সুদৃঢ়-সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে।

পুরো এলাকা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের পাশাপাশি আন্তঃবেষ্টনী-বহিঃবেস্টনী ঘিরে মোট পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের গোয়েন্দা সদস্যদের বিপুল সংখ্যক সদস্য সাদা পোশাকে অবস্থান করবেন। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মাঠের প্রধান গেটে আবারো আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। সেখানে দৈবচয়নের ভিত্তিতে আরো ব্যপক তল্লাশি চালনো হতে পারে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছি। ঈদগাহে ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হবে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে পুলিশ।

যত্রতত্র কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার জন্য নগরবাসীকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে সিটি কর্পোরেশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য সরিয়ে নিতে পারবে। কোরবানির বর্জ্য থেকে যেন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য নগরবাসীকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এর আগে ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপি কমিশনার সোয়াট এবং ডগ স্কোয়াড দলের নিরাপত্তা মহড়া পরিদর্শন করেন।