ধলাই ডেস্ক: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত হয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে এসে বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। আহতদের অভিযোগ, উপদেষ্টা তাদের সবাইকে দেখতে আসেননি। এ কারণে তারা হাসপাতালের সামনে উপদেষ্টার গাড়ি আটকে প্রতিবাদ শুরু করেন। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনকারীরা উপদেষ্টার গাড়ির উপর উঠে পড়েন।
বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে নিটোরের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিটোরের নতুন বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ড পরিদর্শন করে এক ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন। এরপর তারা চলে যাওয়ার সময় তিন তলার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আহতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, হামলায় আহত হওয়া সত্ত্বেও উপদেষ্টা আমাদের দেখতে আসেননি। তারা দু-একজনের সঙ্গে কথা বললেও আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। আমাদের সামান্য চিকিৎসা দিয়ে তিন মাস ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছে, অথচ আমাদের দাবি জানাতে গেলে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, আমাদের সঙ্গে কথা বলা হোক এবং আমাদের চিকিৎসা আরো উন্নত মানের করা হোক।
এ সময় আহতদের মধ্যে একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন, অন্য একজন গাড়ির উপর উঠে পড়েন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে গাড়িতে কিল-ঘুষি মেরে প্রতিবাদ করতে থাকেন। পরে নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এরপর আন্দোলনকারীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাড়ি এবং প্রটোকলভুক্ত পুলিশের গাড়ি আটকে রাস্তায় অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নিটোরে চিকিৎসাধীন আহতরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ির উপরে ওঠে পড়েন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অন্য একটি গাড়িতে নিটোরের ২ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে যান। আন্দোলনকারীরা সবাই গুরুতর আহত, অনেকেই গুলিবিদ্ধ। তাদের কাউকে আটক করা হয়নি।