ধর্ম ডেস্ক: সুন্নাতে ইবরাহিমি কোরবানির দিনকে ঈদুল আজহা বা ইয়াওমুন নাহর বলা হয়। সারাবিশ্বে মুসলিমনদের কাছে এ দিনটি কোরবানির ঈদের দিন হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম যদি ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তাদের পক্ষ থেকে একটি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক।
সামর্থ্যবান অনেকেই আছেন যারা সাময়িক কারণে কোরবানির টাকা জোগাড় করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ঋণ করে বা ধার করে কোরবানি করেন তাহলে সে কোরবানি বিশুদ্ধ হবে কিনা, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এক্ষেত্রে কেউ চাইলে ধার করে, ঋণ করে কোরবানি করতে পারেন যদি পরবর্তীতে এই ঋণ শোধ করার সৎউদ্দেশ্য তার থাকে তাহলে তিনি ঋণ করে কোরবানি করতে পারেন।
জাগতিক যেকোনো কাজ যেমন আমরা ঋণ করে লোন করে করতে পারি; রাসূলে কারিম (সা.) নিজের জীবনেও তিনি ধার করেছেন, সাহাবায়ে ইকরামের অনেকে ধার করেছেন; অতএব অর্থ ধার করে তিনি কোরবানি করতে পারেন।
যে কোনো ভালো কাজ এমন কি দান-সাদকাহ, হজ-উমরাহ করার জন্যও যদি কেউ ঋণ করেন এবং তার ঋণ পরিশোধ করার সৎ উদ্দেশ্য রয়েছে, ব্যবস্থা রয়েছে তাহলে তিনি ঋণ করে ভালো কাজ করতে পারেন কোরবানিটাও একই রকম। তবে, ঋণ করে কোরবানি করা তার জন্য আবশ্যক নয়। সামর্থ্য না থাকলে ইসলামী শরিয়া মতে, ঋণ করে কোরবানি করতে বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু যিনি ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক, তার পক্ষ থেকে একটি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক।
আমাদের সমাজে অনেক ব্যক্তি আছেন যারা অধীনস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারী এমনকি কাজের লোকের পাওনাকে আটকে রেখে তারা বড় বড় গরু কোরবানি করেন, ইসলামি শরিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি জঘন্য অপরাধ। অন্যের হক না দিয়ে কোরবানি করলে তাতে আল্লাহ সুবানাহুতা’লা মোটেও সন্তুষ্ট হবেন না। অতএব, আমাদের কারো এ ধরনের ঋণ থাকলে আমরা কোরবানির উপরে ঋণ পরিশোধকে অগ্রাধিকার দেবো।
সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…