কমলগঞ্জের বালিয়া ছড়ায় সুইচ গেইট না থাকায় সেচ সংকট ৭’শ একর জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত
কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সেচ সংকটের কারনে প্রায় ৭’শ একর জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ২ দশকে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বালিয়া ছড়ায় সুইচ গেইট নির্মাণ না করায় পানির অভাবে কৃষকরা জমি চাষাবাদ করতে পাচ্ছেন না। এতে করে শতাধিক কৃষক বোরো আবাদ হতে বঞ্চিত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ ২ দশক ধরে কমলগঞ্জ ইউনিয়নের বালিয়াছড়ার তীরবর্তী উত্তর বালিগাঁও, পশ্চিম কুমড়াকাপন, রাসটিলা, কান্দিগাঁও, বনগাঁও গ্রামের শত শত কৃষক বোরো মৌসুমে বালিয়া ছড়ায় মাটি দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করে বোরো ধানের জমিতে সেচ সুবিধা নিয়ে আসছেন। চলতি মৌসুমেও একই ভাবে কৃষকদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ওই নদীতে একটি বাঁধ নির্মাণ করে দেযা হয়েছে। কিন্তু সেচ সংকট সমাধান হচ্ছে না। অনেক কৃষক পানি না থাকায় চলতি বোরো আবাদ করতে পাচ্ছেন না। একই ভাবে প্রায় ৫টি গ্রামের ৭ শ একর জমিতে বোরোআবাদ হুমকীর মুখে পড়েছে। কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে বালিয়াছড়ায় স্থায়ী ভাবে একটি সুইচ গেইট নির্মানের দাবী জানিয়ে আসলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ওই স্থানে সুইস গেইট নির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন কিন্তুু অদ্যাবধি সে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হওয়াতে কৃষকদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। এতে করে পানি সংকটে কৃষকরা জমি চাষ আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন না। হুমুখীর মুৃখে রয়েছে ৭শত একর চাষ উপযোগী জমি।
কান্দিগাঁও গ্রামের কৃষকরা অভিযোগ করেন, বালিয়াছড়ায় একটি সুইচ গেইট নির্মিত হলেও যথাযত পরিকল্পনা বিহীন সুইস গেইটটি কৃষকদের কোন কাজে আসেনি। পাহাড়ের পাদদেশে ছড়ার উৎস মুখে কৃষিজমি বিহীন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে সুইস গেটটি নির্মান করায় তার সুবিধা ভোগ থেকে বরাবরই বঞ্চিত রয়েছেন কৃষকরা।
কমলগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সোলেমান হুসেন ভূট্টো বলেন, সুইচ গেট নির্মাণ না হওয়াতে প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে এবং স্থানীয় মহলের সহযোগিতায় অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে বোরো চাষ করা হচ্ছে। সুইস গেইট নির্মিত হলে এলাকার প্রায় ৭’শ একর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে এবং কৃষকরা উপকৃত হবে।