কমলগঞ্জের মেয়েদের মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়ার্কশপ ও মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৯

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন প্রজেক্ট কন্যা-এর সামাজিক উদ্যোগ “আধী”-এর আয়োজনে ও স্থানীয় সংগঠন জাগরণ যুব ফোরামের সাথে পার্টনারশিপ-এ রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯ থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানে মেয়েদের মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়ার্কশপ ও মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকার স্বনামধন্য ডাক্তারগণ বিনামূল্যে রোগী দেখেছেন এবং চিকিৎসা শেষে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়। সেই সাথে প্রজেক্ট কন্যা তাদের উদ্যোগ আধী”র মাধ্যমে শমশেরনগর চা বাগানের মহিলাদের অর্ধেক দামে কাপড়ের তৈরি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ব্যবস্থা করে।

এই পুরো কার্যক্রমের সমন্বয়ক ও প্রজেক্ট কন্যা-এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ সাইফুল্লাহ মিঠু বলেন, “আমরা এমন সমাজের স্বপ্ন দেখি যেখানে মেয়েরা মাসিকের কারণে তাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে না। যে সমাজে মেয়েরা নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন এবং তারা তাদের স্বপ্ন বাঁধা ছাড়াই বাস্তবায়ন করতে পারে। তার প্রয়াস হিসেবেই প্রজেক্ট কন্যা এই চা বাগানে মেয়েদের অর্ধেকদামে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ব্যবস্থা করেছে। শুধু এই চা বাগানেই নয় ভবিষ্যতে আমরা সব চা বাগানেই আমাদের “আধী’র কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই ।

জাগরণ যুব ফোরামের সভাপতি মোহন রবিদাস বলেন, চা-বাগানের স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা খুবই নাজুক। আর এই স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে আসার জন্য প্রজেক্ট কন্যা-কে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অদূর ভবিষ্যতে প্রজেক্ট কন্যা ও জাগরণ যুব ফোরাম যৌথভাবে সকল চা বাগানে এ ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সারাদিন সেকশনে দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করতে ও গাদাগাদি পরিবেশে বসবাস, পুষ্টিকর খাদ্য, সচেতনতা ও চিকিৎসার অভাব এসব নানা কারনে চা বাগান সমুহে নারী শ্রমিকদের মধ্যে জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এটি চা বাগানে নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রকট। এ সমস্যা থেকে উত্তরনে ব্যাপক জনসচেততা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে জাগরণ যুব ফোরাম কাজ করছে। আলোচনা অনুষ্ঠানে চিকিৎসকরা নারীদের সচেতনতা সৃষ্টির পরামর্শ প্রদান করেছেন।

পরে মেডিকেল ক্যাম্পে ঢাকার স্বনামধন্য বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তারগণ দিনব্যাপী চা-বাগানের নারীদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন।