কমলগঞ্জে চা বাগানে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬

প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে চা বাগানে দুই পক্ষের দুই দফা সংঘর্ষে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২ জনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৬ জুন দিবাগত রাত ১২ টায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় মঙ্গলবার চা বাগানে কাজ বন্ধ রাখে শ্রমিকরা।

জানা যায়, ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) এর পাত্রখোলা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ও বর্তমান কমিটির সভাপতি দেবাশিষ চক্রবর্তী শিপন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বাগানের পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সম্পাদক মোবারক হোসেন সাথে বর্তমান কমিটির সভাপতি শিপনের কোন্দল ছিল। সোমবার মোবারক হোসেন প্রতিপক্ষ শিপনের পরিবার নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে এ কথা শুনে শিপন ফোনে মোবারকের স্ত্রীর সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাতেই শিপন ও তার লোকজন দেশীয় দা লাঠিসোটা নিয়ে পোস্টঅফিস লাইন এলাকায় মোবারক হোসেন (৫২) বাসায় হামলা চালায়। হামলায় মোবারক হোসেনসহ তাঁর স্ত্রী আছমা বেগম (৪২) মেয়ে লুৎফুন্নাহার (১৭) ও জীবন উরাং (২৬) আহত হন। হামলা চালিয়ে বাজার লাইনে ফেরার পথে খবর পেয়ে মোবারক হোসেনের লোকজন ফুটবল মাঠের পাশে শিপন গ্রæপের কিষান অলমিক (২২) ও মধু কর্মকার (৪৬) কে মারধর করলে গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত মধু কর্মকারকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ও কিষান অলমিককে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ঘটনায় মঙ্গলবার শ্রমিকরা সকাল ৬ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত চা বাগানে কাজ বন্ধ রেখে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে পরে বাড়িতে ফিরে যায়।

মোবারক হোসেন বলেন, শিপন গ্রæপের সদস্যরা আমার বসতবাড়িতে এসে হামলা করে আমাকে ও আমার স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানকে পিটিয়ে আহত করেছে।

দেবাশিষ চক্রবর্তী শিপন জানান, মোবারক হোসেন ও তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা করে দু’জনকে গুরুতর জখম করেছে।

পাত্রখোলা চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. শামসুল ইসলাম জানান, তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা। কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে এ রকম ঘটনা ঘটেছিল। মঙ্গলবার বাগানে কোন কাজ হয়নি।