ধলাই ডেস্ক: সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পৌষ সংক্রান্তি উৎসব মঙ্গলবার। এ উৎসবে হিন্দু স¤প্রদায়ের ঘরে ঘরে তৈরি হবে নানা ধরনের পিঠা পুলি ও সুস্বাদু খাবার। তার একটি বড় অংশ হচ্ছে বাজার থেকে বড় আকারের মাছ কিনে খাবার তৈরি করা। তাই পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে বসেছে মাছের মেলা। সকাল ১০টা থেকে কমলগঞ্জের ভানুগাছ, শমশেরনগর, আদমপুর ও মুন্সীবাজারে বসা বিশাল মাছের মেলায় বিভিন্ন জাতের বড় আকারের মাছ সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভানুগাছ ও মুন্সীবাজারে মাছের মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মাছের দোকানে বড় আকারের মাছ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেলায় উঠেছে বোয়াল, চিতল, রুই, কাতলা, বাঘ মাছসহ সব ধরনের মাছ। ৫ কেজি ওজন থেকে শুরু করে ৩০-৩৫ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে মেলায়। সহজে হাট-বাজারে পাওয়া যায় না-এমন মাছ সাজিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাও হচ্ছে। প্রতিটি দোকানে বেশ চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন মাছ বিক্রেতারা।
মুন্সীবাজারের মাছ বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া এবারের মেলায় ২০ কেজি ওজনের কাতলা মাছ নিয়ে বসেছেন। তিনি মাছটির দাম হেঁকেছেন ৩৬ হাজার টাকা। ক্রেতারা ওই মাছ ২০-২৫ হাজার টাকা বললেও তিনি মাছটি বিক্রি করেননি।
মাসুক মিয়া নামের আরেক ব্যবসায়ী ২৫ কেজি ওজনের গোয়াল মাছের দাম ৭৫ হাজার টাকা হেঁকেছেন। মাছটির দাম ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠলেও তিনি সেটি বিক্রি করেননি।
এদিকে ক্রেতারা জানান, মেলায় নানা জাতের বড় আকারের মাছ উঠলেও দাম বেশ চড়া। বিক্রেতাদের সঙ্গে দরাদরি করে মাছ কিনে নিতে হচ্ছে।
আর মাছ বিক্রেতারা বলেন, দাম বড় কথা নয়। ম‚লত ক্রেতাদের আকর্ষন করতে মেলায় বড় আকারের মাছ সরবরাহ করা হয়। বেশ চড়া দাম বলা হলেও ক্রেতারা দরাদরি করে পরে সহনীয় পর্যায়ে হলে কিনে নিচ্ছেন।
মাছের আড়ৎদার আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে এখন দেশীয় মাছের সরবরাহ অনেক কমে গেছে। সাধারণত বাজারে এত বড় আকারের মাছ উঠে না। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাওর, বাওর, বিল ও বড় নদী থেকে ধরে আনা বড় আকারের মাছ এ বিশেষ দিনের জন্য সরবরাহ করতে হয়। মাছের মেলায় রোববার গভীর রাত এমনকি মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিক্রয় চলবে বলে আড়ৎদার জানান।’