স্টাফ রিপোর্টার: ভারত পিয়াঁজ রফতানি বন্ধের অজুহাতে বেশ কিছুদিন ধরেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। কমলগঞ্জের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বর্তমানে ১২০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
পেঁয়াজের এমন ঝাঁজে দিশেহারা নিন্মআয়ের সাধারণ মানুষ। শনিবার স্হানীয় ব্যবসায়ী সনজিত দাশ, সিরাজ মিয়া বলেন, উপজেলা সদর ভানুগাছ ও শ্রীমঙ্গল পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় । ৯০/৯৫ টাকা দরে পিয়াজ কিনে এনে আমরা কত করে বিক্রি করবো। এদিকে সিন্ডিকেটের অভিযোগ থাকলেও ব্যবসায়ীদের দাবি, পেঁয়াজের বাজার কম না থাকায় দাম দিয়েই পিয়াঁজ কিনে আনতে হচ্ছে । আমদানি বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেচাকেনা বন্ধ করায় চরম অস্থিরতা দেখা দেয় পিয়াজ বাজারে। ভারত প্রথম পিয়াঁজ রফতানি বন্ধ করলে, সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার টন পিয়াঁজ আমদানি করে, সাধারণ মানুষের ধারণা ছিলো হয়তো পিয়াঁজের মুল্য কিছুটা কমবে,বিভিন্ন দেশ থেকে পিয়াঁজ আমদানির পর পিয়াঁজের দাম কিছুটা শিতিল হলেও যখন ভারত থেকে পিয়াঁজ আমদানি শুরু হয়, তখন থেকেই আবার পিয়াঁজের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমান বাজার গুলোতে পিয়াঁজের খুচরা মুল্য ১১০ থেকে ১২০ টাকা জানিয়েছেন ভানুগাছ এলাকার ক্রেতা শফিক মিয়া ও মাসুক মিয়া ।
চা শ্রমিক রাজমোহন পাশি বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছে মত দাম দিয়ে পিয়াঁজ বিক্রি করছেন আমাদের কাছে । এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, আদমপুর, মুন্সিবাজার ও মাধবপুর বাজারে সরজমিনে চা শ্রমিক বাবুল দাস, নিমচাঁন দিন মজুর খালেদ মিয়ার সাথে আলাপ কালে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার নাকি হাজার হাজার টন পিয়াজ আমদানি করেছে শুনেছি , কিন্তু পিয়াজের দাম তো আর কমছে না দিনকা দিন পিয়াজের দাম বেড়েই চলেছে । আমাদের নুন আনতে পানতা ফুরায় সে জায়গায় ১২০ টাকা দিয়ে পিয়াঁজ কিনে কিভাবে খাবো, এখন পিয়াঁজ কিনা বাদই দিয়ে দিচ্ছি। যে ব্যবসায়ীরা পিয়াঁজ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে জোর দাবি জানান এসকল ক্রেতারা।
কমলগঞ্জের সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মনে করেন উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রণোদনার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের জেল জরিমানা করলে হয়তো পিয়াজ বাজার কিছুটা স্থিররতা আসতে পারে।