কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউপির জসমতপুর গ্রামের ১০ পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় দেয়াল নির্মান করে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এতে ওই এলাকার কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে পাশাপাশি স্কুলে যেতে পারছে না ওইসব পরিবারের শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় যাতায়াত করতে পারছেন না ওই দশ পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জসমতপুর গ্রামের মৃত মজর উল্লার ছেলে আকবর মিয়া ও তার পরিবার ওই জমির মালিকানা দাবি করে ওই জমিতে দেয়াল নির্মাণ করায় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই দশ পরিবারের সদস্যদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ১০ পরিবারগুলোর সদস্য আমিন মিয়া, মুমিন মিয়া, উমর আলী, মতিন আলী, আমির আলী, খিজির আলী, তাজুল আলী, তবারক আলী, মজাহিদ আলী ও ফরহাদ আলী জানান, তাদের পূর্বপুরুষের রাস্তা এটি। দীর্ঘদিন থেকে তারা এ রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু আকবর মিয়া, তার স্ত্রী জমীলা বেগম ও মেয়ে নাজমা বেগম মিলে হঠাৎ দেয়াল নির্মান করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় এবং তাদের এ পথ দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করেন। এলাকায় তাদের প্রভাব থাকায় নিষিদ্ধ ওই ১০ পরিবার ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কোনো কথাও শোনেন না ওই প্রভাবশালী পরিবার। ভুক্তভোগী ওই ১০ পরিবারের শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে না পারায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে আকবর মিয়ার স্ত্রী জমীলা বেগম ও মেয়ে নাজমা বেগম বলেন, ‘এ জমিটি আমাদের পৈতিৃক সম্পত্তি। বিষয়টির জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে সমাধানের জন্য অনেকবার গিয়েছি। কিন্তু তারা দেখে বিচার করতে রাজি নন। আমরা চাই সরকারী সার্ভেয়ার এনে সঠিকভাবে সমাধান করা হউক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ চৌধুরী সেলিম বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানকে নিয়ে আকবর মিয়া ও তার পরিবারকে রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এ বিষয় নিয়ে অনেকবার বিচার হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। আসলে পরিবারটি উশৃঙ্খল।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওয়াল নির্মান করে রাস্তা আটকে রাখার লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।