কমলগঞ্জে ব্যাংকে ভাতা নিতে এসে চরম দূর্ভোগে ভাতাভোগীরা

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
ছবি ধলাইর ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভাতাভোগীদের জন্য অনলাইন সেবা কার্যক্রম চালু করলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শীতায় ভাতাভোগীদের দূর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে সোনালী ব্যাংক কমলগঞ্জ শাখা ও জনতা ব্যাংক কমলগঞ্জ শাখায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বয়োবৃদ্ধরা দীর্ঘ সময় ব্যাপী প্রখর রোদ্রের মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ সময় ভানুগাছ ষ্টেশন রোডে জনতা ব্যাংক ও ১০নং রোড সোনালী ব্যাংক এর সম্মুখে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় ভাতাভোগী ও হাটুরেদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়। জানা যায় সোনালী ব্যাংকে আলীনগর ইউনিয়ন থেকে আসা সাড়ে ৮ শতাধিক ও জনতা ব্যাংকে ৬ শতাধিক ভাতাভোগীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় প্রখর রোদ্রের কারনে অনেক বয়োবৃদ্ধ’কে মূর্ছা যেতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাতাভোগীরা বলেন- আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভাতা দেওয়া হলে এই দূর্ভোগ পোহাতে হতো না। সকাল থেকে এখানে এসে এখনও পর্যন্ত অনাহারে আছি। আসলে দেখার কেউ নেই।

কমলগঞ্জের জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক তমাল বলেন- এক সাথে নতুন আরো ৪টি ওয়ার্ড এর মানুষ বেড়ে যাওয়া এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আশাকরি আগামীতে এরকম ঝামেলা পোহাতে হবে না।
কমলগঞ্জের সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম মাসুম বলেন ব্যাংকের সামনে জায়গা সংকীর্ণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এই ঝামেরার সৃষ্টি। এছাড়া আলীনগর ইউনিয়নের ভাতাভোগীর সংখ্যা বেশী ছিল। আগামীতে এধরণের কোন ঝামেলা যাতে না হয়, সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।