ধলাই ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় আব্দুর রহমান (৫২) নামে এক চা বিক্রেতা করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এতে করোনার ভয়ে তার কাছে যায়নি কোনো স্বজন। মরদেহ বহনে খাটিয়াও দেয়নি এলাকাবাসী। শনিবার (৬ জুন ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় তার দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।
আব্দুর রহমান গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা চত্বরে তার চায়ের রয়েছে।
শনিবার (৬ জুন ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রেজাউল করিম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মসজিদের ইমাম মওলানা আরিফ বিল্লাহ, মোয়াজ্জেম মো. মোফাজ্জল হোসেন ও গ্রামবাসীর সহায়তায় মৃত রহমানের দাফন কাজ শেষ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহমান কয়েকদিন ধরে জ্বর ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন। অসুস্থতা বেড়ে গেলে শুক্রবার (৫ জুন) দুপুরে তিনি গোবিন্দগঞ্জের একটি ক্লিনিকে যান। চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে বলেন টাইফয়েড হয়েছে। এরপর তাকে বাড়িতে আনা হলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই করোনার ভয়ে তার কাছে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানান। তার মরদেহ বহনের জন্য এলাকাবাসী খাটিয়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মেহেদী হাসান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাম কৃষ্ণ বর্মণ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রেজাউল করিমের সঙ্গে কথা বলে শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আব্দুর রহমানকে দাফন করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মসজিদের ইমাম মাওলানা আরিফ বিল্লাহ ও মোয়াজ্জিন মো. মোফাজ্জল হোসেনের সহায়তায় মৃত আব্দুর রহমানের দাফন কাজ শেষ করা হয়। মৃতের পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।