ধলাই ডেস্ক: বাবার খুবই আদরের মেয়ে চাঁদনী। বাবা কাতারে থাকেন। কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুটি কিডনিই অচল। তার ওপর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মানসিক এ চাপ আর সহ্য করতে পারেনি কিশোরী চাঁদনী। শেষমেষ গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বসে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকেলে ৫টার দিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুইলপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে গায়ে আগুন দেয় চাঁদনী। সে এবার ওই ইউনিয়নের সপ্তগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। বাবা আনোয়ার হোসেন কাতার প্রবাসী। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে চাঁদনী দ্বিতীয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুঠোফোনে জানান, মেয়েটির শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে চাঁদনীর এটেন্ডেন্ট তার দূরসম্পর্কের চাচা পুলিশের এসআই আরিফ জানান, চাঁদনী শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় মারা গেছে। পরে শাহবাগ থানায় জিডি করেছি।
চাঁদনীর দাদী জানান, তার বাবা আনোয়ার হোসেন কাতারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার দুটি কিডনি অচল। এ অবস্থায় বাড়িতে ফোনও করতে পারছে না। ৩/৪ দিন পর একবার কথা বলে। সরকারি ত্রাণ সহায়তায় তাদের পরিবারটি চলে। সম্প্রতি শেখ হাসিনার উপহার ২৫০০ টাকাও পেয়েছেন তারা। বাবার খুবই আদরের মেয়ে ছিল চাঁদনী। বাবার কথা চিন্তা করেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।