ডেস্ক রিপোর্ট: টাঙ্গাইলে হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর ঝড়ে বসতবাড়ি লন্ডভন্ড ও গাছপালা ভেঙে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম এ ঝড় আঘাত হানে। আহতের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় হেমনগর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনো বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, জেলার মধুপুরে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ের তাণ্ডবে দেয়াল ধসে রাকিব (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছে তার ভাই সাকিব (৯) ও তাদের মা দিলরুবা (৩৬)।
এছাড়া টাঙ্গাইল পৌর এলাকার স্টেডিয়াম পাড়ায় শতবর্ষী একটি বাদাম গাছের নিচে চাপা পড়ে শান্ত চৌহান (১৪) নামে এক শিশু গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রথমে টাঙ্গাইলে ও পরে শিশুটিকে ঢাকায় নেয়া হয়। তবে ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও এখনো শিশুটির জ্ঞান ফিরে আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান স্বপন।
গুরুতর আহত শান্ত চৌহান স্থানীয় চা বিক্রেতা মঙ্গল চৌহানের ছেলে। ঝড়ে হতাহতের এ ঘটনায় আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা দ্রুত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়াম পাড়াস্থ শতবর্ষী সবকটি গাছ কেটে ফেলার দাবি জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের কুইরাবাড়ি, বালবাড়ি, বানিয়ারা, বানীপাড়া, ভোলারপাড়ার কয়েকশত বাড়িঘর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরবাড়ি ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
গোপালপুর উপজেলার ভোলারপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়া বলেন, ঝড়ের সময় গাছের নিচে চাপা পড়ে আমার একটি গাভি মারা যায়। আমারসহ অনেকের ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ বিশ্বাস বলেন, ঝড়ে হেমনগর ইউনিয়নে ৩০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের টিন ও নগদ টাকা সহায়তা দেয়া হবে।