ধলাই ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লৌহজং নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুমুদিনী হাসপাতাল ও ভারতেশ্বরী হোমসে প্রবেশ করেছে। হাসপাতাল ও ভারতেশ্বরী হোমসের প্রবেশ পথ প্রায় এক ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের।
এছাড়া দক্ষিণ মির্জাপুরের হাজার হাজার মানুষ লৌহজং নদী পার হয়ে কুমুদিনীর সামনে দিয়ে সদরে যাতায়াত করেন। তাদেরকেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে লৌহজং নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কুমুদিনী কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ড্রেন দিয়ে পানি প্রবেশ করে।
শনিবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের রাস্তাসহ প্রধান ফটক ও অভ্যন্তরের বেশ কিছু জায়গা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসা রোগী আর স্বজনদের পানির মধ্যেও হাসপাতালে প্রবেশ ও বের হতে হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে বন্যার কবলে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী আবাসিক নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরী হোমস। বন্যায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকসহ প্রবেশ পথ ও বিস্তৃত সবুজ মাঠের একাংশ পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন আবাসিক হোস্টেলের বিশাল মাঠটিও পানিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে পানি প্রবেশের সময় মেশিন বসিয়ে পাইপের সাহায্যে পানি নিষ্কাশন করার ব্যবস্থা করা হলেও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়াও হাসপাতাল ও হোমসে চলাচলের জন্য অস্থায়ীভাবে ইট দিয়ে উঁচু করে বিকল্প রাস্তা করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) অনিমেষ ভৌমিক লিটন জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটেনি। পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকলে সেক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।