ধলাই ডেস্ক: ১৫ বছরের তুষার। কোনো কাজ না করলেও খেতেন বেশি। আর এ নিয়ে মায়ের কথাও শুনতেন। প্রায়ই দিতেন খাওয়ার খোটা। কিন্তু মায়ের এসব খোটা সইতে পারলেন না ছেলেটি। শেষ করে দিলেন নিজের জীবন।
ঘটনাটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রাম থেকে তুষারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তুষার উপজেলার পাছার গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পাছার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণিতে পড়ালেখা করতেন। মৃত্যুর আগে মায়ের কাছে চিঠি লিখে যান এ কিশোর। মরদেহ উদ্ধারের সময় স্কুলছাত্রের পকেট থেকে সেই চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়।
গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সামছুল ইসলাম বলেন, মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন তুষার। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাকে উদ্দেশ্য করে চিরকুটে লেখা ছিল- ‘মা, আমি তোমার আদরের অতি কষ্ট করে বড় করা খারাপ ছেলে। মামার ছেলে অনেক টাকা পয়সা রোজগার করে দেওয়ায় তুমি আমাকে বলতা দেখ তোর ছোট, তবু তার মা-বাবাকে কামাই করে খাওয়ায়, আর তুই ঘরে বসে বসে সবকিছু খাস আর খাস। অথচ দেখ আম্মা আজ আমি খবর কিছুই নিতে পারলাম না। মা-বাবা আমার বেশি বেশি খাওয়ার জন্য শুধু সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো, মা আল্লাহই এই একটা পেট দিসে, না সাগর দিসে, খালি খাই আর খাই করে। আম্মা আমি বুঝতে পারছিলাম না যে আমার জীবন এত ভারি হবে। তুমি আল্লাহর কাছে বলছিলা না যে কত মানুষ গাছে উঠে কত জায়গায় যায়, আল্লাহ কি এরে দেখে না।’