ধলাই ডেস্ক: পুলিশ ও ইউএনওকে দেখে বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছেন বর ও অতিথিরা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (০৭ আগস্ট) দেউলডাংরা গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ের (১৫) সঙ্গে একই ইউনিয়নের হাড়িয়াকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলামের (২২) বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। ভুয়া জন্মনিবন্ধন বানিয়ে মেয়ের বয়স বাড়িয়ে দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বরপক্ষের লোকজন। এ সময় হাজির হন ইউএনও ও পুলিশ। তাদের দেখে দৌড় দেন বর ও অতিথিরা। এ সময় ধরা পড়েন কনের বাবা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দেউলডাংরা গ্রামের ভ্যানচালক জামাল উদ্দিনের মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার সঙ্গে হাড়িয়াকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলামের বিয়ের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার বিয়ের দিন যথারীতি সকাল থেকে আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে হাজির হন ইউএনও। এতে বিয়ে পণ্ড হয়ে যায়।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ উদ্দিন বলেন, জোর করে মাদরাসাছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দিচ্ছিল পরিবারের লোকজন। স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে খবর পেয়ে কনের বাবাকে বিয়ে বন্ধের জন্য বলা হয়। কিন্তু বিয়ে বন্ধ না করায় পুলিশ নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বর ও তার পক্ষের লোকজন পালিয়ে যান। কনের জন্মনিবন্ধন যাচাই করে দেখা যায়, কনে নবম শ্রেণিতে পড়লেও ভুয়া জন্মনিবন্ধনে তার বয়স ১৯ বছর দেয়া আছে। তবে জন্মনিবন্ধনে নেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর। পরে কনের বাবাকে আটক করা হয়।
ইউএনও এরশাদ উদ্দিন বলেন, অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনোভাবে বাল্যবিয়ে দেয়া চলবে না।