ধলাই ডেস্ক: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় ২০০ টন চাল ও গম আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ঐ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাজমুল হক। অভিযোগ দায়ের পর থেকে ঐ কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনার তদন্তে গাইবান্ধা সদর সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিব রেওয়ানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধার খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল।
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কমিটি গত ৩ জুন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, পলাশ বাড়ি খাদ্য গুদামে ১৩১ টন চাল, ৬৮ মেট্রিক টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার হিসাব মিলছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ঐ পরিমাণ খাদ্যশস্য ও সামগ্রী তছরুপ করা হয়েছে।
মিজানুর রহমান আরো বলেন, সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক এক আদেশে ওসি এলএসডি আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সিলেট বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেন। গত ১৯ মে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ওসি আজমিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি এরইমধ্যে দুদকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…