খাবারে মরা মাছি, দইয়ের মধ্যে চুল ও মেয়াদোর্ত্তীন খাবার পরিবেশনের অভিযোগে মঙ্গলবার সিলেটের পানসি রেস্টুরেন্টের কদমতলী শাখাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ে শুনানিতে এ জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম।
গত ২০ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ে পানসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন গোলাপগঞ্জ পৌর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
অভিযোগে তিনি জানান, অভিযোগ দায়েরের দুই দিন আগে রেস্টুরেন্টে ভাত খেতে গেলে ঢেঁড়স ভাজির মধ্যে মরা মাছি পাওয়া যায়। এছাড়া কাপ দইয়ের মধ্যে প্রায় দেড় ইঞ্চি পরিমাণ লম্বা চুল ও দইয়ের লেভেলে মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা নেই। বিষয়টি তখন দায়িত্বরত ম্যানেজারকে অবহিত করার জন্য সার্ভিস বয়ের মাধ্যমে তাকে টেবিলে আসার অনুরোধ জানালেও ম্যানেজার আসেননি।
এসব অভিযোগের শুনানি মঙ্গলবার হয়। এসময় পানসি রেস্টুরেন্টের পক্ষে শুনানিতে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলী হোসেন। তিনি অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র দেখে প্রতিষ্ঠানের দোষ স্বীকার করেন। এবং ভবিষ্যতে এরকম কাজ না করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
শুনানি শেষে রায়ে পানসি রেস্টুরেন্টকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০১৯ এর ৪৩ ধারা অনুসারে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উক্ত আইনের ৭০(৫) ধারা অনুসারে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৩৮৬ এর উপধারা (১) এর দফা (ক) এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী মালামাল ক্রোক ও বিক্রয়ের মাধ্যমে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থসহ মোট জরিমানা আদায় করা হবে।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ আদায় করার পর আইন অনুযায়ী ২৫ শতাংশ অর্থ অভিযোগকারীকে দেয়া হবে।
