গরুর সঙ্গে ছাগল ফ্রি

প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৩
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: একটা কিনলে একটা ফ্রি। গরু কিনলে ছাগল ফ্রি দেওয়ার ঘটনা ব্যতিক্রমই বটে। আর ক্রেতাদের আকর্ষণ করে ব্যতিক্রমী এ কাজটি করেছেন কক্সবাজারের খামারিরা। গরু কিনলে ছাগল ফ্রি দেওয়ায় অফারে যেমন বাড়বে বেচাকেনা তেমনি লাভবান হবেন খামারিরা।

কক্সবাজার সদরের একটি ডেইরি ফার্মের মালিক আলী আহমদ বলেন, আমার ৬৫টি গরু ৬টি মহিষ ও শতাধিক ছাগল কোরবানি যোগ্য আছে। এর মধ্যে ১২টি বড় সাইজের গরু আছে। একেকটি গরুর ওজন ২০ থেকে ২৫ মণ। এসব গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, এসব গরুর সঙ্গে ফ্রিতে দেওয়া হচ্ছে খাসি বা ছাগল।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানায়, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কক্সবাজারে কোরবানি যোগ্য ১ লাখ ৫১ হাজার ৬২২টি গবাদিপশু রয়েছে। এর মধ্যে গরু ১ লাখ ৪৫২টি, মহিষ ৫ হাজার ৯৪টি, ছাগল ৩৫ হাজার ৪০৭টি ও ভেড়া ১০ হাজার ৬৬৯।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে থাকবে পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব। থাকবে একাধিক মেডিকেল টিম। সদর উপজেলায় ১৯টি, রামুতে ২২টি, চকরিয়ায় ২৫ টি, পেকুয়ায় ১১টি, উখিয়ায় ১২টি, টেকনাফে ১০টি, মহেশখালীতে ১৫টি, কুতুবদিয়ায় ১০টি ও ঈদগাওতে সাতটি বসছে কোরবানির হাট।

টেকনাফের হ্নীলা এগ্রো ফার্মের মালিক তারেক মাহমুদ রনি বলেন, এ বছর খামারে  প্রচুর পশু রয়েছে। ছোট-বড় ও মাঝারী ধরনের পশু পাওয়া যাবে।

ক্রেতা জুহুর আলম বলেন, এ বছর তুলনামূলক দাম একটু কম মনে হচ্ছে। আমি দুটি গরু কিনেছি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, কক্সবাজারে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর অনেক বেশি গবাদিপশু রয়েছে। যা চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলাগুলোতেও পাঠানো সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, গবাদিপশুকে যেন কোনো প্রকার মোটাতাজা করণ ওষুধ খাওয়ানো না হয় সেজন্য আমরা প্রচারণা চালিয়েছি।

সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…