ডেস্ক রিপোর্ট: শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে চলন্ত বাসে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জুলহাস মিয়া (২০) নামে এক বাস হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় তাকে আদালতে নেয়া হলে বিচারিক হাকিম তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার জুলহাস মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার তাতালপুর এলাকার ওসমান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূ তার স্বামীসহ গাজীপুরের গড়গড়ীয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকেন এবং ওই এলাকার একটি গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিকের কাজ করেন। গত ৮ জুলাই তিনি স্বামীকে রেখে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে নিজ এলাকায় যান। ভোটার তালিকার কাজ সেরে ৯ জুলাই রাত ১১টায় তার শ্বশুর তাকে ওই গাড়িতে উঠিয়ে দেন।
ঝিনাইগাতীর সিয়াম বাস কাউন্টার থেকে ‘মমিন পাগলের দোয়া’ নামে একটি বাসে করে (বাস নং মেট্রো-ব-১২০৪২১) গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হন ওই গৃহবধূ। বাস ছাড়ার পর থেকেই ওই বাসের চালক ও তার সহকারীরা গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে রাতে বাসের যাত্রীরা ঘুমিয়ে পড়লে হেলপাররা ওই গৃহবধূর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। নানা কৌশলে তিনি ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেলেও শ্লীলতাহানির হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এমন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে গাজীপুর গড়গড়ীয়া মাস্টারবাড়িতে গৃহবধূ বাস থেকে নেমে যায়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে ওই বাসের হেলপার জুলহাস মিয়াকে গ্রেফতার ও বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। বিকেলে গ্রেফতার জুলহাস মিয়াকে আদালতে নেয়া হলে আদালতের বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।