
শেরপুরের নকলা পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রূপালী বেগমকে হামলা-ভাঙচুর, মারপিট ও চাঁদাবাজির মামলায় (৪০) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে ওই মামলার ১১ আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। শুনানী শেষে বিচারিক হাকিম শরিফুল ইসলাম খান অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় আটজনকে জামিন দিলেও কাউন্সিলর রূপালী বেগমসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, প্রভাবশালী নারী কাউন্সিলরকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে তার হাতে হয়রানির শিকার লোকজন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ৫ এপ্রিল সকালে নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে একটি জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর রূপালী বেগমের পরিবারের লোকজন নিয়ামত আলী ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে নিয়ামত আলীর ছেলে মোবারক হোসেন, স্বজন দেলোয়ার হোসেন, নুরজাহান ও ছাইফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল কাউন্সিলর রূপালী বেগম, তার স্বামী আমিরুল ইসলামসহ ১২ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়। আদালত তা নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ডের জন্য নকলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদেশের কপি সেদিন থানায় পৌঁছলেও মামলাটি দীর্ঘ ২১ দিন পর ২৮ এপ্রিল রেকর্ড করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, নারী কাউন্সিলর রূপালী এবং আরও প্রভাবশালী মহলের তদবিরে একই দিনে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে নিয়ামত আলী ও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেফতার করিয়ে হাজত খাটান।
অন্যদিকে, স্বামী-সন্তানসহ তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে মামলা হওয়ার পরও এতদিন কেবল এলাকাতেই নয়, কর্মস্থল থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রকাশ্যে ঘুরেছেন কাউন্সিলর রূপালী।