ধলাই ডেস্ক: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামে এনামুল হক সুইট নামে এক যুবক ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে চাকরি না পাওয়ার হতাশায় নিজ শয়ন কক্ষে তিনি এ ফাঁস দেন ।
সুইট সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার আতাইকুলা ইউপির বামনডাঙ্গা গ্রামের আতাহার আলী ওরফে আতাহারের ছেলে। তিনি সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পরও চাকরি না পাওয়ায় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
নিহতের মামা বাশার মোল্লা জানান, সুইট ইংরেজিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তারা দুই ভাই এক বোন। বড় ভাই রতন দেশের বাইরে থাকেন। বোন বিবাহিত আর সুইটের স্ত্রী ঢাকায় চাকরি করেন। তিনি বাবা- মায়ের সঙ্গে বাড়ি থাকতেন। তার মা বছর দুয়েক আগে ব্রেনস্ট্রোক করায় শয্যাশায়ী।
সুইটের আত্মীয়রা জানান, সুইট দীর্ঘদিনেও কোনো চাকরি পাননি। মাঝে কিছুদিন একটি কিন্ডারগার্টেনেও চাকরি করেন। সরকারি বা বেসরকারি কোনো ভালো চাকরি না পাওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত ও মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন।
তার বাবা আতাহার আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে রাত ১১টার দিকে তার ছেলে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পান সুইট তার দরজা আটকানো কক্ষে ফাঁস নিয়েছেন।
পরে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেন। সকালে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
আতাইকুলা থানার এসআই সুভাস কুমার জানান, তিনি শুক্রবার সকাল ৭টায় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন।
আতাইকুলা থানার ওসি নাসিরুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।