
ধলাই ডেস্ক: দূর সম্পর্কের এক চাচার সঙ্গে মায়ের পরকীয়া। এর জেরে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ। কিন্তু সেই বিচ্ছেদ কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ছেলে। ফলে আঁটেন মায়ের সেই প্রেমিককে হত্যার পরিকল্পনা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী দাওয়াতে যাওয়ার কথা বলে ভৈরব থেকে তাকে তুলে নেন গাড়িতে। এরপর গাড়িতেই শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ফেলে দেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মনসারটেক এলাকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন নির্জন একটি স্থানে।
সেই লাশ উদ্ধারের পর পকেটে থাকা আইডি কার্ড দেখে পরিচয় শনাক্ত করে পটিয়া থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়। মামলাটির তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম। এরপর গ্রেফতার হন গাড়িচালক ও তার সহকারী।
তাদের দেয়া তথ্যেই দীর্ঘ ৯ মাস পর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আশরাফুল হক ওরফে সাব্বির ও তার মা শিউলী বেগমকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নিহতের নাম নবী হোসেন। তিনি ভৈরব উপজেলার আগানগর গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে।
পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নাজমুল হাসান বলেন, গত বছরের ১৬ অক্টোবর দাওয়াতে যাওয়ার কথা বলে ভৈরব থেকে মায়ের প্রেমিক নবী হোসেনকে প্রাইভেট কারে তুলে নেন সাব্বির। কুমিল্লাতে এসে চলন্ত প্রাইভেটকারে নবী হোসেনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন সাব্বিরের দুই বন্ধু। এরপর পটিয়ার একটি জঙ্গলে লাশটি ফেলে তারা ভৈরব ফিরে যান।
এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই কবির হোসেন। মামলাটির তদন্তভার পেয়ে ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে ২৩ অক্টোবর ভৈরব থেকে প্রাইভেটকার চালক আশিক ও তার সহকারী সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা। এ ঘটনার জন্য গাড়ি ভাড়াসহ তাদের ৭৫ হাজার টাকা দেন সাব্বির।
কিন্তু ঘটনার পর থেকে সাব্বির ও তার মা পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রোববার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।