ধলাই ডেস্ক: আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সবাই নজরদারিতে রয়েছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি জানান, আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মিশনে অংশ নেয় ১৮ জঙ্গি। তাদের ছয়জন সরাসরি ও ১২ জন আদালত এলাকায় রেকি করে। ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনা সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হকের। আদালত প্রাঙ্গণে ছিনতাইয়ের নেতৃত্ব দেয় আইমান ও সাব্বিরুল হক চৌধুরী নামে দুই জঙ্গি। সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তারা যেন পালাতে না পারে সেজন্য এরই মধ্যে সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
হারুন অর রশিদ জানান, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি চলছে। আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মামলায় ২০ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পালানোর চেষ্টা করা দুই জঙ্গিসহ ১০ জনের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তিনি আরো বলেন, আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে ডিএমপি কমিশনার এরই মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেছেন। কোর্ট এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। কোর্টে জঙ্গি আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।