ধলাই ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে দুই ভাইয়ের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ ও চাষাবাদকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাতুড়ি পেটা ও ধারালো অস্ত্রের কোপে উভয়পক্ষের সাতজন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন।
বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুরে কোমরপুর গ্রামের কাটাখালির ঈদগার মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে।
আহত শওকত আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে আমার সাথে আমার আপন ভাই আব্দুল্লাহর বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে আজ দুপুরে আমিসহ আমার দুই ছেলে শাহীন ও সুমন কাটখালির ঈদগাহ মাঠে মসুরির আবাদ করছিলাম। এসময় আব্দুল্লাহ, তার দুই ছেলে হাসান ও সাজিদ এবং আবু হুরায়রাসহ কয়েকজন আমাকেসহ আমার দুই ছেলেকে হাতুড়ি পেটা করে। এক পর্যায়ে হাঁসুয়া (একধরনের অস্ত্র) দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।’
আহত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘পৈতৃক সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে আমার ভাই শওকত ও তার দুই ছেলে আমাদের ওপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে তারা।’
খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন-আব্দুল্লাহর দুই ছেলে সানু (৩৮) ও হাসান (২৮) এবং রবগুলের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩০)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, আহত শওকত ও তার ছেলে শাহিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শওকতের মাথায় কোপের জখম রয়েছে। শাহিনের দুই হাত, পা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে কোপের জখম রয়েছে। বাকিদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, কোমরপুর গ্রামে দুই ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা বিরোধের জেরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সূত্র|: জাগো নিউজ…