ঝড়ে পড়ল একঝাঁক পাখি, রান্না করে খেল গ্রামবাসী

প্রকাশিত: ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২২, ২০২০
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কবল থেকে গাছে ঠাঁই নিয়েছিল একঝাঁক শামুকখোল পাখি। বাতাসের গতির কাছে হেরে মাটিতে পড়ে যায় অন্তত দুইশ পাখি। এরপর সেসব পাখি ধরে নিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেলে গ্রামবাসী।

বৃহস্পতিবার ভোরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাজিতপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে মর্মাহত পাখিপ্রেমীরা।

বাজিতপুরের পাখিপ্রেমী আব্দুল কাদের জানান, তিন মাস ধরে গ্রামের বটতলা বাজারের পাশের তিনটি শিমুল গাছে বাসা বেঁধেছিল দুই শতাধিক শামুকখোল পাখি। মাঝে অনেকেই পাখিগুলো শিকারের চেষ্টা করেছে। তবে তিনি বাধা দেয়ায় শিকারীরা সফল হয়নি।

তিনি আরো জানান, এত চেষ্টার পরও শেষ রক্ষা হলো না। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে পাখিগুলো মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় সুযোগসন্ধানীরা পাখিগুলো ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে জবাই করে মাংস রান্না করে ফেলে।

আব্দুল কাদের বলেন, অনেক বুঝিয়ে গ্রামবাসীকে এতদিন পাখিগুলোকে ধরতে দেইনি। অথচ ঝড়ের কারণে এক রাতেই পাখিগুলো শেষ হয়ে গেল।

পাখিগুলো যে শিমুলগাছে আশ্রয় নিয়েছিল, তার পাশেই আশরাফ আলীর বাড়ি। তিনি জানান, পাখিগুলোর প্রতি গ্রামের কিছু লোকের আগে থেকেই লোভ ছিল। ঝড়ের সময় মানুষ যখন নিজেদের জানমাল নিয়ে ব্যস্ত, তখন ওইসব লোক পাখিগুলো ধরে নিয়ে যায়।

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, অসহায় অতিথি পাখি নিধন খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে আগে থেকে তৎপর থাকা দরকার। পাখির আবাসস্থলের আশপাশের লোকজনকে সচেতন করে পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা উজ্জল কুমার কুণ্ডু জানান, বাজিতপুরে শামুকখোল পাখি থাকার বিষয়টি তার জানা ছিল না। এমন ঘটনা এড়াতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…