টেস্টে ভুয়া ঠিকানা, বহু করোনা রোগীকে খুঁজছে স্বাস্থ্য বিভাগ

প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২০
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তের পরীক্ষার জন্য অনেকে ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। করোনায় আক্রান্তদের অনেকে মোবাইল নম্বরও ভুল দিয়েছেন। যার ফলে অনেককে খুঁজে পাচ্ছে না ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, এই বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা পরীক্ষা করাতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুন থেকে করোনা পরীক্ষা করাতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা রাখা হচ্ছে। এখন আর ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে করোনা পরীক্ষা করার সুযোগ নেই।

তিনি জানান, গত ২০ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলায় ২৯৬ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য তল্লাশি করে স্বাস্থ্য বিভাগ ৬৩ জনের ভুয়া নাম ও ঠিকানা চিহ্নিত করেছে। ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহারের বিষয়টি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আক্রান্তদের মাঝে বেশি। গত এক সপ্তাহের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মাঝে সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ জন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ জন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ১৬ জন ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জনের নাম ও ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন থেকে আর ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করা সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১ জুন) নতুন করে ৪৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৬০ জনসহ মোট ৯১ জনের করোনা পজিটিভ আসে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে রাতে জানা যায়, নতুন ৬০ জনের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন ও সদরে ৩৬ জন, ফুলবাড়ীয়ায় ২ জন, ফুলপুরে ৪ জন,তারাকান্দায় ৩ জন, ত্রিশালে ৪ জন, ঈশ্বরগঞ্জে ৩ জন, মুক্তাগাছায় ৩ জন, হালুয়াঘাটে ৩ জন,ভালুকায় ২ জন এবং ফলোআপ পজিটিভ সদরে ৩ জন, ভালুকায় ১ জন, মুক্তাগাছায় ১ জন ও ঈশ্বরগঞ্জে ১ জন রয়েছেন।

জানা যায়, ময়মনসিংহে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮৮৯ জনের। জেলাতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৯৯১ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৫ জন। বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীর সংখ্যা ৮০৫ জন। তাদের মধ্যে অনেকেই দ্রুত সুস্থতার পথে। তবে নতুন করে আর কারো মৃত্যু হয়নি। ময়মনসিংহ জেলায় এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।