দিরাইয়ে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত, নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯

ধলাই ডেস্ক: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের কালিয়া কুঠা হাওরে নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন ইউএনও বিশ্বজিৎ দেব। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ৯০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়। এদিকে নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

বুধবার দুপুরে নিখোঁজ তাছমিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধারের পর এ অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা দেন ইউএনও। দুপুর পর্যন্ত উদ্ধারকৃতরা হলেন- রফিনগর ইউপির মাছিমপুর গ্রামের আরজ আলীর স্ত্রী রইতনু নেছা, একই গ্রামের জাসদ মিয়ার মেয়ে শান্তা বেগম, চরনাচর ইউপির পেরুয়া গ্রামের করিমা বেগম, নোয়ারচর গ্রামের আসাদ মিয়া, আজিজুন বেগম স্বামী আফজল হোসেন ও নাছিমপুর গ্রামের আরজ আলীর মেয়ে তাছমিনা বেগম।

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে উদ্ধারকৃতরা হলেন- মাছিমপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম, একই গ্রামের বদরুল মিয়ার ছেলে আবিদ, নোয়ারচর গ্রামের আফাজালে ছেলে সোহান ও চরনারচর ইউপির পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে আজম।

সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল। দুই দিনে সাত শিশু ও তিন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইউএনও ও পুলিশ বিভাগের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিক মোজাহিদ সর্দার জানান, নৌকা ডুবির ঘটনায় নোয়রচর, মাছিমপুর ও পেরুয়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। প্রিয়জন হারানোর বেদনায় বুকফাটা কান্নায় চারপাশে হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শান্তনা দিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কান্না থামানো যাচ্ছে না।

দিরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মন্জুর আলম জানান, নিহতদের পরিবারের বুকফাটা আর্তনাদে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল জানান, নৌকাডুবির ঘটনার পর নিখোঁজ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের মাছিমপুর থেকে চরনার চর ইউপির পেরুয়া গ্রামে নৌকায় যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। এ সময় কালিয়া কুঠা হাওরে ঝড়ের কবলে পড়ে ৩১ যাত্রীসহ নৌকাটি ডুবে যায়।