ধলাই ডেস্ক: সাভারের আশুলিয়ায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ৯ কিশোর পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) ভোরে আশুলিয়ার ভাদাইল ও নয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন- ডায়মন আলামিন, জাকির ও পান রাকিব। পান রাকিব ভাদাইল এলাকায় মাঝে মধ্যে শাক বিক্রি করতেন বলে জানা গেছে। বাকি দুইজন শিক্ষার্থী। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা হলেন- দলনেতা সারুফ, তার সহযোগী আল আমিন, জিদান, রেদওয়ানসহ আরও কয়েকজন।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া কিশোর ইসরাফিল জানান, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে একটি কারখানায় কাজ করতেন ভুক্তভোগীরা। প্রায় ৩৫ দিন আগে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সঙ্গে দুই বান্ধবীকে নিয়ে ভাদাইলের গুলিয়ারচক এলাকায় তিনি বেড়াতে যান।
পরে ভুক্তভোগীদের আড়ালে নিয়ে ১২ জন কিশোর ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ফাঁস হলে ভুক্তভোগী দুই বান্ধবী গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয় বলেও জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার প্রায় এক মাস পর কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ধারণ করা ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর গ্যাংয়ের প্রধান সারুফের বাবা আকবর আলী প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যসহ অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে স্থানীয় মাদবরদের নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে ৩ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান জানান, ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই কোনো অভিযোগ না পেলেও তদন্তে নামে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে তিন গ্যাং সদস্যকে আটক করা হয়। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ…