আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকে দুর্নীতির অভিযোগে ১ হাজার সরকারী কর্মীকে বরখাস্ত করেছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন। দেশটিতে কয়েকদিন ধরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। বহিস্কৃত কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘সরকারি অর্থ বিনষ্ট’সহ বেশকিছু অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
নজিরবিহীন দুর্নীতি, চাকরির সংকট ও নিম্নমানের সরকারি সেবার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানী বাগদাদের পথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও সরকারি অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামেন এসব বিক্ষোভকারীরা।
নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই দেশটির সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
রাজনৈতিক সংকটের অবসান ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার কয়েকজন ইরাকি নাগরিক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদির কার্যালয় থেকে যোগাযোগের হট লাইন নম্বরসহ টেক্সট মেসেজ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওই মেসেজে বলা হয়েছে ওই নম্বরে ফোন করে বিক্ষোভকারীরা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারবে। নাগরিকদের কাছে এমন বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি বিবৃতি দিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।
বিক্ষোভ ঠেকাতে রাজধানী বাগদাদসহ বেশ কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। তারপরও কারফিউ উপেক্ষা করে চলছে বিক্ষোভ।