দোকান ভাড়া আদায় নিয়ে ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেললো ভাই

প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০

ধলাই ডেস্ক: বরিশাল নগরীর বগুড়া রোড এলাকায় পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে আপন ছোট ভাইকে হত্যা করেছেন বড় ভাই। নিহত ছোট ভাইয়ের নাম ফরিদ হোসেন (৪৫)। বড় ভাই শাহ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে সবার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম নান্না ও শাহ আলমের ছেলে মো. তাসিনকে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ফরিদ হোসেনকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ফরিদ হোসেন বগুড়া রোড এলাকার শীতালাখোলা সংলগ্ন জেসমিন ভিলা নামের বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবা প্রয়াত মজিদ খান প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ছিলেন। ১০ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে ফরিদ হোসেন একসময় ওষুধ প্রস্ততকারী একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বর্তমানে বেকার ছিলেন। তিনি এক সন্তানের জনক। তার স্ত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাবা মজিদ খানের রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে তার সন্তানদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। প্রায়ই তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটত। তাদের বাড়ির সামনে একটি দোকান ফরিদ ও শাহ আলম দু’জনই দাবি করে আসছিলেন। রোববার সকালে ফরিদ দোকানের ভাড়াটিয়া কাজলের কাছে জানুয়ারি মাসের ভাড়া চান। তখন কাজল তাকে দোকান ভাড়ার টাকা দিতে অস্বীকার করেন। ভাড়াটিয়া কাজল ও ফরিদের কথা কাটাটির একপর্যায়ে শাহ আলম সেখানে উপস্থিত হন। এরপর দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া ও একপর্যায়ে মারামারি বেধে যায়। তখন ফরিদ হোসেনকে একটি লোহার পাইপ দিয়ে বেদম পেটানোর পর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন শাহ আলম। ফরিদ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা জানান, ফরিদকে মারধরের সময় সবার বড় ভাই মফিজুল ইসলাম নান্না ও শাহ আলমের ছেলে মো. তাসিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, একটি দোকানের ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আর দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ফরিদ হোসেন নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।