ধলাই ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কিশেরীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে ৫৫ বছর বয়সী সৎ বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ধর্ষণের কথা বিশ্বাস করেননি ভুক্তভোগী কিশোরীর মা।
বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক জাবেদ বাবুর্চি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, তিনি একটি হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করেন। তিন বছর আগে তার বাবা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। এক বছর আগে জাবেদ আলীকে বিয়ে করেন তার মা। এরপর থেকেই তিনি মা, সৎ বাবার সঙ্গে মাসদাইর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকছিলেন।
দুই সপ্তাহ আগে তার হাত-পা বেঁধে মুখ চেপে ধর্ষণ করেন সৎ বাবা জাবেদ। বিষয়টি মাকে জানান তিনি। কিন্তু মা বিশ্বাস না করে উল্টো মিথ্যাবাদী বলে দোষারোপ করেন।
পরে বুধবার (২৩ জুন) মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে ফের তাকে ধর্ষণ করেন সৎ বাবা। ওই সময় টের পেয়ে চিৎকার করতে চাইলে মুখ চেপে ধরে তৃতীয় দফায় ধর্ষণ করেন। ফের ধর্ষণের বিষয়টি সকালে মাকে জানান তিনি। এরপরও বিশ্বাস করেননি মা। পরে নিরুপায় হয়ে কারখানা মালিককে জানান ভুক্তভোগী কিশোরী। পরে বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানানো হলে ৯৯৯-এ কল দেয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সৎ বাবাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন জাবেদ আলী ওরফে শফিক বাবুর্চি। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।