ধলাই ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বেড়ানোর কথা বলে নৌকায় নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বিষয়টি জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রেমিকসহ তিনজন।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে তাদের জবানবন্দি রের্কড করা হয়েছে।
জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানা ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান।
জবানবন্দি দেয়া আসামিরা হলেন- বন্দরের খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ, বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রাকিব ও নৌকার মাঝি খলিল।
আসামিরা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে শিক্ষার্থীকে ডেকে আনার পর অটোরিকাশা দিয়ে ঘোরাঘুরি শেষে তাকে শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌকায় নিয়ে যায় তারা। পরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ‘আমার সঙ্গে যা হয়েছে মাকে বলে দেব সব’ বলে জানায় ওই শিক্ষার্থী। এ কথা বলার পর প্রেমিক আব্দুল্লাহ গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয় তারা।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পরই দ্রুত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মাঝিকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খোঁজ করেও ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অনেক খোঁজাখুঁজি পর তাকে না পেয়ে প্রায় এক মাস পর গত ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীর বাবা।
মামলায় মেয়ের বাবা উল্লেখ করেন, আমার মেয়ের সঙ্গে আব্দুল্লাহ যোগাযোগ করতো। সে তাকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিতো। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ মোবাইলে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই অনুযায়ী যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই আমার মেয়ে নিখোঁজ হয়।