ডেস্ক রিপোর্ট: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বালিয়াকান্দি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- ইসলামপুর ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়ীয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে শয়ন, আবু বক্কর মোল্লার ছেলে আশরাফুল হক রনি, আড়াবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সাইদুর রহমান ও বিল্লাল হোসেন। মামলার পর বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও বয়স শনাক্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই স্কুলছাত্রী জানায়, প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে রাত ৯টার দিকে সে টিউবওয়েলে পানি আনতে বাইরে যায়। এ সময় তার মুখ চেপে ধরে কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। পড়ে নির্জন একটি স্থানে নিয়ে হাত-পা চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ওই ছাত্রীর মা জানান, ঘটনার দিন রাতে তার মেয়ে টিউবওয়েল থেকে ঘরে আসতে দেরি করায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু আশপাশের কারও বাড়িতে পাননি। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা পর অসুস্থ অবস্থায় মেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। তখন সে তাদের কিছু বলেনি। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে মেয়েটি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। এ সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পরে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানতে পারেন মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। সে সময় তাকে রাজবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। ২৯ জুলাই চিকিৎসা শেষে বাড়ি আনা হয়। এ ব্যাপারে তিনি বাদী হয়ে গত ১৮ আগস্ট রাজবাড়ী আদালতে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ওবায়দুর হক জানান, এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট প্রথমে রাজবাড়ী আদালতে মামলা হয়। মামলাটি বিচারক বালিয়াকান্দি থানায় রেকর্ডের নির্দেশ দেন। পড়ে গতকাল বুধবার বালিয়াকান্দি থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলার আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এছাড়া মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও বয়স নির্ধারণের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।