নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, ঘরে ফিরছে বানভাসিরা

প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে উন্নতি ঘটছে বন্যা পরিস্থিতির। পানি কমতে শুরু করাই আশ্রয়কেন্দ্র ও নদীর বাঁধে বসবাসরত মানুষগুলো বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসি মানুষের। টানা কয়েকদিন ডুবে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। বন্যার পানিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, মাছের ঘের ও গবাদি পশু খামারের।

জামালপুরে ভয়াবহ বন্যায় মৎস্য ও কৃষিখাতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৭টি উপজেলায় বন্যার কারণে ৪৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে মাছের চাষ করায় পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। কুড়িগ্রামে বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসী মানুষের। চারণভূমি দীর্ঘসময় পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে ঘাস ও খড়। দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট।

গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হলেও পানি নেমে যাওয়ার পর পরই চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় চরম বিপাকে দুর্গতরা। শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার বন্যা পানি নেমে যাওয়ায় জেগে উঠেছে বেশিরভাগ সড়কের ক্ষত চিহ্ন। রাস্তাঘাট চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন মো. আবু হানিফ জানান, বন্যা পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত রোগ মোকাবিলায় কাজ করছে মেডিকেল টিম। এই সময়ে এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার্তরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোগান্তিতে রয়েছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ৩০ ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ।

জামালপুরে যমুনা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরাম ও দশানী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। বন্যার পর জেলার ১ হাজার ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত বানবাসীরাও তাদের বসতভিটায় ফিরছে।

টাঙ্গাইলে সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি। শেরপুরে তিন সপ্তাহের বন্যায় নালিতাবাড়ী, নকলা, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীসহ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের রোপা আমনের বীজতলা, সবজি ও আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।