আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাইজেরিয়ার বর্নো প্রদেশে জোড়া জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ২০ জন সেনা ও ৪০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অনেকেই।
এক সপ্তাহের মধ্যে শনিবার আফ্রিকার দেশটিতে তৃতীয়বারের মতো হামলা চালানো হলো। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বেসামরিক টাস্কফোর্সের যোদ্ধাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ধারণা করা হচ্ছে, নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হামলা বকো হারাম ও এর সহযোগী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রোভিন্স এই হামলা চালাচ্ছে।
এ ঘটনার একদিন আগেই মুনগুনো এবং নাগানজাই অঞ্চলে ৮১ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তার দুদিন আগে এই বর্নো রাজ্যের একটি গ্রামে আরেকটি হামলায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়।
তবে শনিবারের হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন দুই মানবাধিকার কর্মী এবং তিনজন স্থানীয়। রয়টার্সকে তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সশস্ত্র হামলাকারীরা রকেট লাঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে মঙ্গুনোতে পৌঁছায়। তারা সরকারি বাহিনীকে তাড়া করে। তারপর অন্তত ২০ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করে এবং সেখানে তিন ঘণ্টা অবস্থান নেয়।
ওই বন্দুকযুদ্ধে শতাধিক সাধারণ মানুষ আহত হয়। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র। এলাকায় জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থা ও স্থানীয় পুলিশ স্টেশন জ্বালিয়ে দেয় হামলাকারীরা। সামরিক কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সহযোগিতা করতে বারণ করে বাসিন্দাদের স্থানীয় হাউসা ভাসায় লিফলেট দেয় হামলাকারীরা।
দুই বাসিন্দা ও একটি যৌথথ বেসামরিক টাস্ক ফোর্স (সিজেটিএফ) যোদ্ধারা জানায়, একই সময়ে মোটরসাইকেলে করে এনগানজাইয়ে ঢোকে হামলাকারীরা এবং ৪০ জনের বেশি বাসিন্দাদের হত্যা করে।
তবে এই হামলা সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলেও ধরেননি একজন সামরিক মুখপাত্র। জাতিসংঘ কর্মকর্তাদেরও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, উত্তর পূর্ব নাইজেরিয়াতে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা ও লাখ লাখ বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করেছে বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স (আইএসডব্লিউএপি)। দুটি হামলারই দায় স্বীকার করেছে আইএসডব্লিউএপি।
সূত্র: রয়টার্স