ডেস্ক রিপোর্ট: নোয়াখালীতে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে ইটভাটার এক নারী ও এক পুরুষ শ্রমিককে গাছে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পেটানোর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বুদ্ধিনগর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি জাফর আহমদকে গ্রেফতার করা হয়।
জাফর আহমদকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোববার সকালে (২ জুন) বুদ্দিনগর এলাকায় নারী-পুরুষকে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বুধবার রাতে নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক জাফরসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে মামলার বাদী ওই নারীসহ জাফরের স্ত্রী ও তার মাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বৃহস্পতিবার জাফর আহমদকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নির্যাতনের শিকার ওই নারী বুদ্ধিনগর এলাকায় থেকে স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করেন। তার সঙ্গে যে ব্যক্তিকে মারধর করা হয়ছে তিনিও একই ইটভাটায় কাজ করেন। দীর্ঘদিন স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় ওই নারী তার মা ও দুই সন্তানের সঙ্গে থাকেন।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে, আর পাশে নারীকে একটি লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তিকেও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি জানান, তিনি তার সহকর্মী ওই নারীর কাছে দুই হাজার টাকা পান। টাকা আনার জন্য রোববার সকালে তার বাড়ি গেলে স্থানীয় কিছু লোকজন ‘মিথ্যা অপবাদ’ দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার সহকর্মী ও তার মা অনুরোধ করলেও তারা তাকে ছাড়েনি। উল্টো তার সঙ্গে ওই নারীকেও মারধর করা হয়। দফায় দফায় মারধরের একপর্যায়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় মাথার আমার চুল ফেলে ন্যাড়া করা দেয়া হয়।
ওসি আনোয়ার বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ বিষয়টি থেকে জানার পর বুধবার সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী, জাফরের স্ত্রী ও তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি জাফর আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।