ডেস্ক রিপোর্ট: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলার মেডিসিন ওয়ার্ডে (মহিলা) সেবিকাদের কক্ষে বিপুল পরিমাণ সিরিঞ্জ ও ক্যানোলা, স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালের সরবরাহ করা ওষুধ ও বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী রোগীদের বিতরণ না করে সেগুলো সেবিকাদের কক্ষে মজুদ রাখা হয়। সুযোগ বুঝে এগুলো বাইরে বিক্রি দেয়া হতো বলে রোগী ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেনের নেতৃত্বে ঊর্ধতন কর্মকর্তারা সেগুলো জব্দ করেন। এসব সিরিঞ্জ ও ক্যানোলা, ওষুধ, স্যালাইন ও সুচ কীভাবে মজুদ হলো, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি কর্মকর্তারা।
হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরকারিভাবে সিরিঞ্জ ও ক্যানোলা, ওষুধ, স্যালাইন ও সুচ সরবারহের কথা থাকলেও মেডিসিন ওয়ার্ডের (মহিলা) সেবিকারা তা বেশিরভাগ রোগীকে বিতরণ করতেন না। রোগীদের হাতে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিয়ে ওষুধ ও বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রীগুলো বাইরের ফার্মেসি থেকে নিয়ে আসতে বলতেন। পরে এসব ওষুধ ও বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী পরে বাইরে বিক্রি করে কিছু অসাধু সেবিকা টাকা হাতিয়ে নিতেন। দুপুরে পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন ওই ওয়ার্ড পরিদর্শনে গেলে সেবিকাদের কক্ষে ২ হাজার পিস সিরিঞ্জ, ক্যানোলা, স্যালাইন ও সুচ জব্দ করা হয়। এছাড়া জব্দ করা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, স্টোররুম থেকে সরবরাহ করা ওষুধ রোগীদের মধ্যে ঠিকমতো বিতরণ হয় কীনা তা যাচাই করতে তিনি প্রতিমাসে ওয়ার্ডের স্টোর রুমগুলো পরিদর্শনে যান। গত তিনমাস ডেঙ্গু রোগীর চাপের কারণে ওয়ার্ডগুলো পরিদর্শন করেননি। দুপুরে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের স্টোর রুম পরিদর্শনে গিয়ে বিপুল পরিমাণ সিরিঞ্জ, ক্যানোলা ও স্যালাইন সুচ পাওয়া গেছে অস্বাভাবিক পরিমাণ বেশি। এছাড়া স্যালাইন ও ওষুধও মজুদ পাওয়া গেছে। সঠিকভাবে বিতরণ করলে এগুলো এত মজুদ থাকার কথা নয়।
পরিচালক বাকির হোসেন জানান, তিনি সেগুলো জব্দ করেছেন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হবেন জব্দ করা চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো বৈধ নাকি অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছিল। কাগজ পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবেন বলে জানান ডা. বাকির হোসেন।
তবে ওয়ার্ড ইনচার্জ হোসেন আরা বেগম দাবি করেছেন, কাগজপত্রের হিসাবের সঙ্গে মজুদ ওষুধ ও অন্যন্য সামগ্রীর মিল রয়েছে। এতে কোনো গড়মিল হয়নি।
সূত্র: জাগো নিউজ…