নেগেটিভ সনদ ছাড়াই আরও ২৫৯ যাত্রী নিয়ে এলো সৌদি এয়ারলাইন্স

প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাববন্দরে গত ২৪ ঘণ্টায় (১৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্য়ন্ত) মোট ২৩টি ফ্লাইটে চার হাজার ৫৬ জন যাত্রী এসেছেন। এসব ফ্লাইটে আগত মোট যাত্রীদের মধ্যে ছয়টি ফ্লাইটের আরও ২৬৫ জনকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি ও আশকোনা হজ ক্যাম্পের সরকারি দুটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ছয়টি ফ্লাইটের মধ্যে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আগত একটি ফ্লাইটেই (রিয়াদ থেকে আসা এসবি ৩৫৮৪) ২৫৯ জন যাত্রী করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া আসেন। তারা সকলেই প্রবাসী শ্রমিক।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সম্প্রতি বাংলাদেশে আসতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করে। বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশ আসতে হলে সকল যাত্রীকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং করোনা নেগেটিভ যাত্রীরাই আসতে পারবেন। বিমানবন্দরে সেই নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। একইসঙ্গে বিমানবন্দরেও যাত্রীর উপসর্গ আছে কিনা অনুসন্ধান করা হবে। ৫ ডিসেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে একটি নির্দেশনা জারি হয়।

বেবিচকের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া ও সৌদ এয়ারলাইন্সসহ বেশকিছু এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়াও যাত্রী পরিবহন করছে। এ কারণে আর্থিক জরিমানাও গুনতে হচ্ছে। তবে সৌদি এয়ারলাইন্সে বেশি সংখ্যক যাত্রী আসলেও তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে না।

কারণ জানতে চাইলে শাহজালালের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল জানান, সৌদি এয়ারলাইন্স মন্ত্রণালয়ে কারণ ব্যাখ্যা করে কিছু কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য সময় নিয়েছে। এ কারণে এই এয়ারলাইন্সটির বিরুদ্ধে আর্থিক কিংবা অন্য কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।