ধলাই ডেস্ক: নেত্রকোনার মদন উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নায়েকপুর ও বাঁশরী গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
চার ঘণ্টা চলমান সংঘর্ষে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন বলে নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান নিশ্চত করেছেন। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নিজেও আতহ হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে আহত ১০ জনকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শরীফ নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মদন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অলিজা। বাকিরা স্থানীয়ভাবে পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানায়, ঈদুল আজহায় দিন বাশরী বাজার ট্রলার ঘাট থেকে কেন্দুয়া উপজেলার তাম্বুলী পাড়া পার্কে যেতে যাত্রী নিয়ে বাশরী গ্রামের ট্রলার চালক নুরুল ইসলামের সঙ্গে নায়েকপুর গ্রামের ট্রলার চাকল জাসদের তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার (০২ আগস্ট) নায়েকপুর গ্রামের সবুজ ব্যাপারী বাদী হয়ে বাশরী গ্রামের হাজী জালাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে আরও ২৫ জনের নামে চুরির মামলা করেন। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে বাশরী বাজারের সেতুর পাড়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরি সার্কেল) জামাল উদ্দিন বলেন, একজন হাজীকে চুরির মামলার আসামি করায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে ট্রলার ঘাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে বাঁশরী ও নায়েকপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।