নোয়াখালীতে এবার কিশোরীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২০
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কিশোরী চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় চার যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরীসহ পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটকরা হলেন- বসুরহাট-চট্টগ্রাম রুটের বসুরহাট এক্সপ্রেসের হেলপার উপজেলার চরফকিরা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাজহারুল ইসলামের ছেলে ইমন, মুছাপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের রইসল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম, রামপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে অটোচালক জামাল উদ্দিন পিয়াস ও একই ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মক্কানগর এলাকার মমিনুল হকের ছেলে নসিমন চালক মহি উদ্দিন।

ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, চট্টগ্রামের থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইমন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রোববার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট এক্সপ্রেস বাসে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট বাসস্টান্ডে তাকে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ইমনের সহযোগী পিয়াস অটোরিকশা নিয়ে এসে তাকে ও ইমনকে মুছাপুরে সাইফুলের বাড়িতে নিয়ে যান। রাতে সাইফুলের বাড়ির একটি টিনের ঘরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ইমন। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে।

স্থানীয়রা জানায়, রাতে সাইফুলের বাড়ি থেকে এক নারীর গোঙানির শব্দ পেয়ে ঘরে ঢুকে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করে এলাকাবাসী। পরে রাতেই তাদের পুলিশে দেয়া হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, রাতে কিশোরীসহ পাঁচজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।