ধলাই ডেস্ক: অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল সোনালী রানীর। কিন্তু তিনি পরীক্ষা নিয়ে ভীষণ টেনশনে ছিলেন। এ টেনশনে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এমনটিই ধারণা করছেন সোনালীর বাবা।
সোমবার সকালে রংপুর নগরীর লালবাগ কেডিসি রোডের একটি ছাত্রীনিবাস থেকে সোনালীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোনালী জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বলিঘাম মাত্রাই গ্রামের সুভাস চন্দ্রের মেয়ে। তিনি কারমাইকেল কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এবার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন তিনি।
সোনালীর বাবা সুভাষ চন্দ্র মুঠোফোনে জানান, তার তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সোনালী সবার ছোট। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন তার মেয়ে ভীষণ চিন্তিত ছিল। রোববার তিনি মেসে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে অনেক বুঝিয়েছেন এবং পরীক্ষা নিয়ে টেনশন না করার জন্য বলেছেন।
সোমবার মেস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় হতাশা থেকে সোনালী আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সুভাষ চন্দ্র।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, রাতে মেয়েটি নিজ কক্ষে একা ছিলেন। সোমবার সকালে ভাত দেয়ার জন্য মেসের বুয়া ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে অন্যদের জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।