লাইফস্টাইল ডেস্ক: পূজো মানেই মিষ্টিমুখ। আর তাই পূজায় বানিয়ে ফেলুন এই সুস্বাদু মিঠাই। আর সারা পূজা নিজে খান এবং খাওয়ান। রইল রেসিপি-
উপকরণ
পুরের জন্য প্রয়োজন পড়বে…
খোয়া ক্ষীর- ১ কাপ
ঘি- ২ টেবিল চামচ
সুজি- ৩/৪ কাপ
কাজু- ১/২ কাপ
আমন্ড- ১/২ কাপ
চিনির গুঁড়া- ১ কাপ
এলাচ গুঁড়া- ১/২ টেবিল চামচ
সাদা তেল- ডুবো তেলে ভাজার জন্য
ডো-এর জন্য হাতের কাছে রাখুন…
ময়দা- ২ কাপ
ঘি- ৩ টেবিল চামচ
লবণ- ১/২ চা চামচ
গোলাপ জল- ১ টেবিল চামচ (অপশনাল)
পানি- পরিমাণমতো।
প্রণালী
প্রথমে ডো তৈরি করে নিন। তার জন্য পাত্রে ময়দা নিন। এবার তাতে ঘি এবং লবণ মিশিয়ে একটু বেশি সময় ধরে খুব ভালো করে ময়ান দিন। ময়ান দেওয়া ময়দায় গোলাপ জল এবং সামান্য পানি দিয়ে মাখতে থাকুন। অল্প অল্প পানি দিয়ে ময়দা মাখবেন। ডো খানিকটা শক্ত হতে হবে। তাই ধৈর্য্য ধরে ময়দা মাখুন। ময়দা মাখা হয়ে গেলে ঢাকা দিয়ে পাশে রেখে দিন। আমন্ড এবং কাজু গুঁড়া করে নিন। সেই সঙ্গে চিনিও গুঁড়া করে নিন। এবার পুরের পালা। কড়াইয়ে খোয়া ক্ষীর দিয়ে নাড়তে থাকুন। খোয়া ক্ষীরের ভিতরের অতিরিক্ত পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত এবং যতক্ষণ না ক্ষীরের রং সোনালি হয়ে ঝরঝরে হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ ক্ষীর নাড়াচাড়া করতে থাকুন।
ক্ষীর ঝরঝরে হয়ে গেলে সেটি আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। একই কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে সুজি দিয়ে নাড়তে থাকুন। মোটামুটি সোনালি রং হয়ে এলে তাতে আমন্ড এবং কাজু কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। ভালো মতো রোস্ট হয়ে গেলে তাতে রোস্টেট খোয়া ক্ষীর দিয়ে ফের নাড়াচাড়া করুন। এবার পুর ঠান্ডা করতে দিন। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে চিনির গুঁড়া এবং এলাচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার ডো পাতলা করে বেলে স্টিলের ধারালো কানার বাটি বা গ্লাস দিয়ে গোল গোল করে লুচির মতো কেটে নিন।
প্রত্যেকটি লুচির ভিতরে চামচ দিয়ে পুর ভরে মোমো কিংবা পুলি পিঠের মতো মুখ বন্ধ করে দিন। লুচির ধারে পানি দিয়ে আটকা দেবেন, তাতে পুরোটা ভালোমতো আটকে থাকবে। পুলি পিঠে বা মোমো তৈরির ছাঁচেও গুজিয়া গড়ে নিতে পারেন।
এবার কড়াইয়ে তেল গরম করুন। ডুবো তেলে গুজিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। একসঙ্গে এক গাদা গুজিয়ে দিয়ে ভাজতে যাবেন না। তাতে ভালোমতো ভাজা হবে না। এমনকী গুজিয়ার মুখ খুলেও যেতে পারে। তাই এক এক করে ভেজে নিন। টিস্যু পেপারে গুজিয়া তুলে নিয়ে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন। গুজিয়া ঠান্ডা করে এয়ার টাইট কৌটোয় রেখে দিন। ১০ থেকে ১৫ দিন রেখে দিতে পারেন। বাড়িতে হঠাৎ অতিথি এলে তাঁর পাতে তুলে দিতে পারেন এই সুস্বাদু মিঠাই। দশমীর মিষ্টিমুখও হয়ে যাবে এই গুজিয়া দিয়েই।