স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া ত্রাণ বন্টনসহ নানারকম অনিয়মের অভিযোগ করেছে ওয়ার্ডবাসী।
বিধবা- বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইয়েদেয়ার নামে টাকা খাওয়া, কবরস্থানের মাটি ভরাট প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও করোনায় কর্মহীন হয়েপড়া অসহায় দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী বন্টন নিয়ে অনিয়ম করেছেন ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুছ। এমন অভিযোগ করেছে কুলাউড়া উপজেলার ১২নং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ধামুলি, করইগ্রাম, লুটাবিল, আমুলি, আলিনগর গ্রামসহ ৮নং ওয়ার্ডবাসী।
জানাযায়, ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুছ ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য হলেও তিনি থাকেন রবিরবাজারে, কালে-ভাদ্রেও তিনি তার নির্বাচনি ওয়ার্ডে যান না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশের মানুষ যখন একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে তখন পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ১২নং ওয়ার্ডের চিত্র ভিন্ন। ওয়ার্ডবাসী ওয়ার্ডের নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ইউপি সদস্যকে কল করলেও তিনি কলের কোন জবাব দেন না। শত বছর বয়সি ছলিমা বেগম বেলেন (ভিডিও), এই বয়সে আমি না খেয়ে মারা যাবো, ঘরে খাবার নাই, কেউ আমাকে বলেনা খাবার খাইছি কি না। এই বয়সে আমি বড় অসহায় হয়ে পড়েছি, আমাকে সাহায্য করুন। মেম্বার চেয়ারম্যান আসে না এই দিকে, আল্লাহ তারার বিচার করবো। ৮নং ওয়ার্ডের ধামুলি গ্রামের করামত আলি বলনে (ভিডিও), অনেকের মুখে শুনেছি গ্রামে সাহায্য আসছে, কিন্তু আমাদে কি দোষ? আমরা পাইনা কেন? আমাদের সংসার চলবে কেমন করে? করোনা আসার পর থেকেই ঘরে বসা, কাজ-কাম নাই, আমরা ৬জন মানুষ খাই কি না খাই, এই খবরও কোন জনপ্রতিনিধি নিলেন না আর মেম্বারত থাকেন টাউনে তার দেখা পাওয়াই যায় না। একই গ্রামের তোয়াব উল্লা বলেন (ভিডিও), আমি গরিব মানুষ কাজ-কর্ম না করলে পরিবারের ৫মেয়েসহ ৮জন সদস্য অনাহারে দিন কাটাই, করোনা আসার পর থেকে আমি কাজে যেতে পারি না, একরকম না খেয়েই দিন কাটছে। সরকারি ত্রান আসারও খবর পাইনা, মেম্বার থাকেন টংগে (টাউনে) রবিরবাজার, তিনি আমাদের খবর রাখেন না। ধামুলি, করইগ্রাম, লুটাবিল, আমুলি, আলিনগর গ্রামের- রজব আলী, আব্দুল মালিক, সৈয়দ ফারুক আলি, বিধবা রায়না বেগম, মায়া বেগম, বিধবা রহিমা বেগম, নেছারুন, প্রতিবন্ধি মো. রিফাত আলি, মো. ছামাদুর রহমানসহ শতাধিক গ্রামবাসী একই অভিযোগ করে বলেন, করোনা আসার পর থেকেই নয়, ইউপি সদস্য ভোটের পর থেকেই আমাদের গ্রামে আসা বাদ দিয়েছেন, তিনি স্বার্থ যেখানে, সেখানেই যান। বিনিময় ছাড়া কোন কাজ করে না। সরকার থেকে আসা ত্রান সামগ্রী তিনি মুখ চিনে চিনে শুধু তার নিজ আত্বিয়দের দেন, হউক সে টাকা পয়সা ওয়ালা।
আমরা দিন মজুর মানুষ সরকারের আইনকে মান্য করে ঘরে রয়েছি, সরকার আমাদের জন্য যে খাবার পাঠাচ্ছে তা এই কুদ্দুছ মেম্বার মেরে খাচ্ছে, আমরা সরকারের কাছে এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত ১২নং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সবই মিথ্যা। আর আমি আমার ওয়ার্ডের মানুষের জন্য সর্বদা নিবেদিত। আমি যদি কোন অন্যায় বা অপরাধ করে থাকি তাহলে প্রশাসন আমার বিচার করুক। আর মানুষ মাত্রই ভুল, যদি কোন ভুল হয় তা আমার অজান্তে।