পোড়া তেল বারবার ব্যবহারে হতে পারে যেসব রোগব্যাধি

প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২১
ফাইল ছবি

লাইফস্টাইল ডেস্ক: রোজার সময় ইফতারে বাহারি সব খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে বেশিরভাগ খাবারই ডুবো তেলে ভাজা হয়। যেমন-পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, পাকোড়া, কাবাব, জিলাপি ইত্যাদি।

এসব খাবার তৈরির জন্য অনেকখানি তেলের প্রয়োজন হয়। বেঁচে থাকা তেলের অপচয় রোধ করতে পরেরদিন আবার অনেকেই তা ব্যবহার করে থাকেন। যা শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ। পোড়া তেল একাধিকবার ব্যবহার করলে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।

পোড়া তেল ব্যবহারের ফলে এথেরোস্ক্লেরোসিসও হতে পারে। যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে এবং ধমনীতে বাঁধা সৃষ্টি করে। পোড়া তেল বারবার ব্যবহারের কারণে অ্যাসিডিটি, হার্টের অসুখ, আলঝেইমার ডিজিজ, পার্কিনসন ডিজিজ এবং গলা ও বুক জ্বালাসহ বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কতবার তেল ব্যবহার করা যায়?

>> অবশিষ্ট তেল ঠান্ডা করে ছেঁকে একটি এয়ারটাইট কনটেইনারে স্থানান্তর করা উচিত। এতে করে তেলের মধ্যে থাকা খাদ্য কণাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়, যা খুব শিগগিরই তেল নষ্ট করে ফেলে।

>> যখনই তেল পুনরায় ব্যবহার করবেন; তখন এর রং এবং ঘনত্ব পরীক্ষা করুন। যদি তেল গাঢ় বা কালচে রং এবং ঘন হয়ে যায়; তবে এটি ফেলে দেওয়ার সময় হয়েছে।

>> যদি তেল গরম করার সময় ধোঁয়া হয়ে যায় দ্রুত; তাহলে তা ফেলে দেওয়া উচিত। এই তেলে এইচএনই জমে থাকতে পারে। যা একটি বিষাক্ত পদার্থ এবং অনেক রোগের কারণ হতে পারে।

মনে রাখা জরুরি

সব ধরনের ভোজ্য তেলের পুষ্টিগুণ ও উপাদানসমূহ ভিন্ন। কিছু তেল দীর্ঘসময় ধরে চুলার আঁচে ভাজার জন্য উপযুক্ত। এমন তেল উচ্চ তাপমাত্রায় ভেঙে যায় না। যেমন- সূর্যমুখী তেল, সয়াবিন তেল, চালের ব্রান, চিনাবাদামের তেল, তিলের তেল, সরিষার তেল এবং ক্যানোলা তেল।

অন্যদিকে অলিভ অয়েলের মতো তেলগুলো ভাজাপোড়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এ তেল একবারই ব্যবহার করা যেতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রায় এ তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া